wheel

AJC Publications and Media Portal

 

But the Comforter, which is the Holy Ghost, whom the Father will send in my name, he shall teach you all things,
and bring all things to your remembrance, whatsoever I have said unto you. John 14:26


আদিপুস্তক অধ্যায় 9
  • 1 ঈশ্বর নোহ আর তাঁর পুত্রদের আশীর্বাদ করলেন| ঈশ্বর তাদের বললেন, “তোমাদের বহু সন্তান হোক| তোমাদের উত্তরপুরুষরা পৃথিবী পরিপূর্ণ করুক|
  • 2 পৃথিবীর সমস্ত জন্তু জানোয়ার, আকাশের সমস্ত পাখী, যতরকমের সরীসৃপ জাতীয জীব যারা মাটির উপরে বুকে হেঁটে চলে এবং জলের সমস্ত মাছ প্রত্যেকে তোমাদের ভয় করবে| সমস্ত প্রাণীগণই তোমাদের শাসনে থাকবে|
  • 3 অতীতে তোমাদের খাদ্য হিসেবে আমি শুধু সবুজ উদ্ভিদ তোমাদের দিয়েছিলাম| এখন থেকে সমস্ত জানোয়ারই তোমাদের খাদ্য হবে| পৃথিবীর সমস্ত কিছুই আমি তোমাদের দিচ্ছি| সব কিছুই তোমাদের|
  • 4 য়ে মাংসের মধ্যে সেই প্রাণীর প্রাণ (রক্ত) আছে সেই মাংস কখনও খাবে না|
  • 5 আমি তোমাদের জীবনের জন্য তোমাদের রক্ত দাবি করব| অর্থাত্‌ যদি কোনও জানোয়ার কোনও মানুষকে হত্যা করে তাহলে আমি তার প্রাণ দাবী করব এবং যদি কোন মানুষ অন্য কোনও মানুষের প্রাণ নেয় আমি তারও প্রাণ দাবী করব|
  • 6 “ঈশ্বর মানুষকে আপন ছাঁচে তৈরী করেছেন| তাই য়ে মানুষ অপর মানুষকে হত্যা করে তার অবশ্যই মানুষের হাতে মৃত্যু হবে|
  • 7 “নোহ, তুমি ও তোমার পুত্রদের অনেক সন্তানসন্ততি হোক| আপন পরিজনদের দিয়ে পৃথিবী পরিপূর্ণ করো|”
  • 8 তারপর ঈশ্বর নোহ ও তাঁর পুত্রদের বললেন,
  • 9 “আমি এখন তোমাকে এবং তোমার লোকদের, যারা তোমার পরে বর্ত্তমান থাকবে তাদের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি|
  • 10 নৌকোর মধ্যে থেকে তোমার সঙ্গে য়েসব পাখী, য়েসব গৃহপালিত জন্তু এবং অন্যান্য য়েসব জানোয়ার নেমেছে তাদের সবাইকে আমার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি| পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর কাছে আমার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি|
  • 11 তোমাদের কাছে আমার প্রতিশ্রুতি হল এই: পৃথিবীর সমস্ত প্রাণ বন্যা দিয়ে ধ্বংস করা হয়েছিল| কিন্তু এমন ঘটনা আর কখনও হবে না| কোনও বন্যা আর কখনও পৃথিবী থেকে সমস্ত প্রাণ নিশ্চিহ্ন করবে না|”
  • 12 ঈশ্বর আরও বললেন, “আর আমি য়ে এই প্রতিশ্রুতি দিলাম এর প্রমাণস্বরূপ আমি তোমাদের একটা জিনিস দেব| এই প্রমাণ থেকে সকলে জানবে য়ে আমি তোমার সঙ্গে এবং পৃথিবীর সমস্ত জীবন্ত জিনিসের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ| এই চুক্তি চিরকালীন|
  • 13 প্রমাণটা এই য়ে, আকাশে আমি মেঘে মেঘে সাতরঙের এক রঙধনু বানিয়েছি| ঐ রঙধনুই হল আমার আর পৃথিবীর মধ্যে চুক্তির চিহ্ন|
  • 14 আমি যখন পৃথিবীর উপরে মেঘমালা ছড়িয়ে দেব, তখন তোমরা মেঘে ঐ রঙধনু দেখতে পাবে|
  • 15 আর আমি যখন ঐ রঙধনু দেখতে পাবো, আমার তখন তোমার ও পৃথিবীর যাবতীয় জীবন্ত জিনিসের সঙ্গে চুক্তির কথা মনে পড়বে| এই চুক্তির মর্ম হল য়ে পৃথিবীতে আর কখনও সর্ব বিধ্বংসী এমন বন্যা হবে না|
  • 16 আমি যখন মেঘের মধ্যে ঐ রঙধনু দেখবো তখন চিরকালের জন্য সম্পন্ন ঐ চুক্তির কথা আমার মনে পড়ে যাবে| আমার আর পৃথিবীর প্রত্যেক প্রাণীর মধ্যে ঐ চুক্তির কথা আমি মনে রাখব|”
  • 17 তারপর প্রভু নোহকে বললেন, “পৃথিবীর সমস্ত প্রাণীর সঙ্গে আমি য়ে একটা চুক্তি করেছি ঐ রঙধনুই তার প্রমাণ|”
  • 18 নোহর সঙ্গে তাঁর পুত্রেরাও নৌকো থেকে বেরিয়ে এলো| তাদের নাম শেম, হাম আর য়েফত্‌| (হামই কনানের পিতা|)
  • 19 ঐ তিনজন হল নোহর পুত্র| ঐ তিন পুত্র হতেই পৃথিবীর সমস্ত মানুষ এসেছে|
  • 20 মাটিতে নেমে নোহ কৃষিকাজ শুরু করলেন| একটা জমিতে তিনি দ্রাক্ষা চাষ করলেন|
  • 21 সেই দ্রাক্ষা থেকে নোহ দ্রাক্ষারস বানালেন, তারপর সেই দ্রাক্ষারস পান করে নেশায চুর হয়ে তাঁবুর ভিতরে শুয়ে পড়লেন| নোহর গায়ে আবরণ থাকল না|
  • 22 কনানের পিতা হাম সেই উলঙ্গ অবস্থায় নিজের পিতাকে দেখে ফেললো| তাঁবুর বাইরে গিয়ে সে কথা ভাইদের বলল|
  • 23 তখন শেম আর য়েফত্‌ এক খণ্ড বস্ত্র নিয়ে নিজেদের পিঠের উপর ছড়িয়ে নিলো| তারপর পিছন দিকে হেঁটে হেঁটে তাঁবুর ভিতরে ঢুকে ঐ বস্ত্রখণ্ড দিয়ে পিতাকে ঢেকে দিল| এইভাবে, তাদের মুখ বিপরীত দিকে ছিল বলে তাদের পিতার নগ্নতা তারা দেখেনি|
  • 24 দ্রাক্ষারসের প্রভাবে নোহ ঘুমিয়ে পড়েছিলেন| তিনি যখন ঘুম থেকে উঠলেন তখন জানতে পারলেন তাঁর তরুণ পুত্র হাম তাঁর প্রতি কি করেছে|
  • 25 তখন নোহ বললেন,“অভিশাপ কনানের উপরে পড়ুক| তাকে চিরকাল তার ভাইদের দাস হয়ে থাকতে হবে|”
  • 26 নোহ আরও বললেন,“শেমের প্রভু ঈশ্বরের প্রশংসা কর! কনান য়েন শেমের দাস হয়|
  • 27 ঈশ্বর য়েফত্‌কে আরও জমি দিন, ঈশ্বর শেমের তাঁবুতে অবস্থান করুন এবং কনান তাদের দাস হউক|”
  • 28 বন্যার পরে নোহ 350 বছর বেঁচ্ছেিলেন|
  • 29 নোহ বেঁচ্ছেিলেন মোট 950 বছর; তারপর তাঁর মৃত্যু হয়|