wheel

AJC Publications and Media Portal

 

But the Comforter, which is the Holy Ghost, whom the Father will send in my name, he shall teach you all things,
and bring all things to your remembrance, whatsoever I have said unto you. John 14:26


জাখারিয়াঅধ্যায় 1
  • 1 বেরিখিযের পুত্র সখরিয় প্রভুর কাছ থেকে এই বার্তা পেয়েছিলেন| এটা ঘটেছিল পারস্য়ের রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের অষ্টম মাসে (সখরিয় ছিলেন বেরিখিযের পুত্র, যিনি ছিলেন ভাব্বাদী ইদ্দোর পুত্র) বার্তাটি ছিল:
  • 2 প্রভু তোমাদের পূর্বপুরুষের উপর খুব রোধন্বত হয়েছিলেন|
  • 3 সুতরাং তোমরা অবশ্যই লোকেদের এই কথাগুলি বলবে| প্রভু বলেন, “তোমরা আমার কাছে ফিরে এস, তাহলে আমিও তোমাদের কাছে ফিরব|” সর্বশক্তিমান প্রভুই এই কথা বলেছেন|
  • 4 প্রভু বলেছেন, “তোমরা তোমাদের পূর্বপুরুষদের মতো হযো না| অতীতে, ভাব্বাদীরা তাদের কাছে বলতেন, ‘সর্বশক্তিমান প্রভু চান তোমরা তোমাদের অসত্‌ জীবনযাপনের ধারা বদলে দাও আর কোন মন্দ কাজ করো না!’ কিন্তু তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আমার কথা শোনেনি|” প্রভু এই কথাগুলি বলেছেন|
  • 5 ঈশ্বর বলেছেন, “তোমাদের পূর্বপুরুষেরা আজ আর নেই| সেই ভাব্বাদীরা চিরকালের জন্য বেঁচে থাকেনি|
  • 6 ঐ ভাব্বাদীরা আমার দাস ছিল| আমার বিধি ও শিক্ষামালা সম্বন্ধে তোমাদের পূর্বপুরুষদের কাছে জানাবার জন্য আমি তাদের ব্যবহার করতাম| অবশেষে, তোমাদের পূর্বপুরুষেরা শিক্ষা গ্রহণ করে বলেছিল, ‘প্রভু হলেন সর্বশক্তিমান, তিনি যা বলেছিলেন তাই-ই করেছেন| আমাদের মন্দ কাজের জন্য ও অসত্‌ভাবে জীবনযাপনের জন্য তিনি আমাদের শাস্তি দিয়েছেন|’ এইভাবে তারা ঈশ্বরের কাছে ফিরে এসেছিল|”
  • 7 রাজা দারিয়াবসের রাজত্বের দ্বিতীয় বছরের একাদশতম মাসের 24 তম দিনে সখরিয় প্রভুর কাছ থেকে আরেকটি বার্তা পেলেন| বার্তাটি এইরকম ছিল:
  • 8 রাত্রে আমি একটি দর্শন পেলাম| সেই দর্শনে আমি একটি লোককে একটা লাল রঙের ঘোড়ার ওপর দেখলাম| সে উপত্যকায কিছু সুগন্ধ পত্রবিশিষ্ট গুল্মের ঝোপের মধ্যে দাঁড়িয়েছিল| তার পেছনে ছিল লাল, খযেরী এবং সাদা রং এর ঘোড়া|
  • 9 আমি জিজ্ঞেস করলাম, “মহাশয়, এই ঘোড়াগুলি কিসের জন্য?”তখন য়ে দেবদূত আমার সঙ্গে কথা বলছিলেন, তিনি বললেন, “আমি তোমায় দেখাছি এই ঘোড়াগুলো কিসের জন্য|”
  • 10 তখন লোকটি সুগন্ধী ঝোপগুলোর মধ্যে দাঁড়িয়ে উত্তর দিল, “পৃথিবীর চারিদিকে এদিক ওদিক যাবার জন্য প্রভু এই ঘোড়াগুলোকে পাঠিয়েছেন|”
  • 11 তখন সুগন্ধী ঝোপঝাড়ের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা প্রভুর দূতকে তারা বলল, “আমরা পৃথিবীর এদিক-ওদিক ঘুরে বেড়িযেছি এবং লক্ষ্য করেছি য়ে সমগ্র পৃথিবী শান্ত ও স্থির|”
  • 12 তখন প্রভুর দূত বললেন, “প্রভু, জেরুশালেম ও যিহূদার শহরগুলোকে স্বস্তি দিতে আপনি আর কত দেরী করবেন? আপনি 70বছর ধরে এই শহরগুলোর প্রতি আপনার রোধ দেখিয়েছেন|”
  • 13 তখন প্রভু আমার সঙ্গে কথোপকথনরত দেবদূতটিকে অনেক সদয ও স্বস্তিপূর্ণ কথা বললেন|
  • 14 তখন প্রভুর দূত আমাকে লোকেদের এই কথা বলতে বললেন: প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন:“জেরুশালেম ও সিয়োনের জন্য আমার একটি গভীর অনুভূতি আছে|
  • 15 এবং য়ে জাতিরা নিজেদের নিরাপদ বলে মনে করে, তাদের প্রতি আমি অতিশয রোধান্বত| আমি যখন তেমন রেগে ছিলাম না, তখন আমি ঐ জাতিদের ব্যবহার করেছিলাম আমার লোকেদের শাস্তি দিতে| কিন্তু ঐ জাতিগুলো ক্ষতি সাধন করেছে|”
  • 16 তাই প্রভু বলেন, “আমি জেরুশালেমে ফিরে আসব এবং তাকে স্বস্তি দেব|” প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন, “জেরুশালেমকে আবার গড়া হবে আর সেখানে আমার গৃহও নির্মাণ করা হবে|”
  • 17 দেবদূতেরা বলল লোকেদের বল: “প্রভু সর্বশক্তিমান বলেন, ‘আমার শহর আবার ধনী হয়ে উঠবে| আমি সিয়োনকে স্বস্তি দেব| আমি জেরুশালেমকে আবার আমার বিশেষ শহর হিসাবে মনোনীত করব|”‘
  • 18 তখন আমি উপরের দিকে তাকিযে চারটে শিং দেখতে পেলাম|
  • 19 তারপর আমি আমার সঙ্গে আলাপচারী সেই দূতকে জিজ্ঞেস করলাম, “এই শিংগুলির অর্থ কি?”তিনি আমাকে বললেন, “এই শিংগুলি হল সেই শিং যারা ইস্রায়েল ও যিহূদার লোকেদের বিদেশে ছড়িয়ে দিয়েছিল|”
  • 20 প্রভু আমায় চারজন কারীগর দেখালেন|
  • 21 আমি তাঁকে জিজ্ঞেস করলাম, “ঐ চারজন কারীগর কি করতে আসছে?”তিনি বললেন, “এই শিংগুলি সেই জাতিগুলির প্রতিনিধিত্ব করছে, যারা যিহূদার লোকেদের আক্রমণ করেছিল এবং জোর করে তুলে তাদের নির্বাসনে পাঠিয়েছিল| তারা তাদের বিদেশে ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছিল| কিন্তু এই চারজন কারীগর ঐ চারটি শিংকে ভয় দেখাতে এবং তাদের ছুঁড়ে ফেলে দিতে এসেছে!”